Suvo47

Header ADS

IE


কোর্স- IE-101

বেসিক টাইম বা অবজার্ভ টাইম কি?
বেসিক টাইম হল কোন কাজ সম্পূর্ণ শেষ করতে যে সময় লাগে।
যেমনঃ কোন স্লিভ জয়েন অপারেটর-এর সাইকেল টাইম হল,
একটা স্লিভ জয়েন শুরু থেকে শেষ করে পরের কাজ নেয়া পর্যন্ত যে সময়। কাজটাকে ভাগ করলে আমরা মোটামুটি যা পাই তা নিম্নরুপঃ
মেইন বডি নেয়া + স্লিভ পার্ট নেয়া + দুই পার্ট মেশিনে রাখা + সেলাই করা + সুতা কাটা + চেক করা + রাখা + পরের পার্ট নেয়ার শুরু।
কাজের এলাউন্সঃ
কোন মানুষ-ই একটানা কাজ করতে পারে না। তার ক্লান্তি আসে, সে পানি খেতে যায়, ওয়াশ রুমে যেতে হয়, মেশিনে সমস্যা হয়, ববিন পাল্টাতে হয়, সুতা বদলাতে হয় ইত্যাদি কারন থাকে। এজন্য প্রতি কাজের হিসাবে তাকে এলাউন্স দেয়া হয়। যেমনঃ সুইং ফ্লোরে সাধারনত ১০ % এলাউন্স দেয়া হয়। এর মানে একজন অপারেটর প্রতি ঘন্টায় ৬ মিনিট এলাউন্স পায়।
সাইকেল টাইম কি?
কোন কাজের বেসিক টাইমের সাথে এলাউন্স যোগ করলে যে সময় দাঁড়ায়, তা-ই সাইকেল টাইম।
তার মানে, সাইকেল টাইম = বেসিক টাইম + এলাউন্স
টাইম স্টাডি কি?
কোন কাজ করতে কত  সময় লাগে তা নির্ণয় করার পদ্ধতিকে টাইম স্টাডি বলা হয়সাধারণ একটানা ১০ পিছ কাজের সময় দেখা হয়। সেই সময়ের গড় করে ১ পিছ কাজ করার সময় বের করা হয় যাকে আমরা বলি বেসিক টাইম বা অবজার্ভ টাইম।
মেথড স্টাডি কি?
কোন কাজ কি পদ্ধতিতে করা হচ্ছে তা পর্যবেক্ষন করে তা থেকে সমস্যা দূর করে পদ্ধতির উন্নয়ন করাকেই মেথড স্টাডি বলে।
মেথড স্টাডিতে পার্টস কিভাবে রাখা হচ্ছে, কিভাবে ধরা হচ্ছে, কিভাবে নড়াচড়া করা হচ্ছে, কোন মেশিন ব্যাবহার হচ্ছে, কি ফিড-ফুট-গাইড ব্যাবহার হচ্ছে ইত্যাদি দেখা হয় এবং উন্নয়নের চেষ্টা করা হয়।
প্রোডাকশান স্টাডি?
সাধারণত টাইম স্টাডি করে এক ঘন্টার যে ক্যাপাসিটি পাওয়া যায় সেই অনু্যায়ী কাজ করতে অপারেটর যদি ব্যার্থ হয়, তাহলে প্রোডাকশান স্টাডি করা হয়এই নিয়মে এক ঘন্টা অপারেটরের পাশে দাড়িয়ে তার কাজ পর্যবেক্ষন, গণনা ও প্রতি কাজের টাইম নেয়া হয়এখানে বিশেষ করে লক্ষ্য রাখা হয় যে অপারেটর আসলে কি কি সমস্যায় পড়ছে। প্রোডাকশান স্টাডি-র সময় মুলত টাইম স্টাডি ও মেথড স্টাডি পাশাপাশি চলতে থাকে।
বেসিক টাইম ও ক্যাপাসিটি হিসাবঃ
স্টপ ওয়াচ দিয়ে অপেরেটরের ৫ পিছ কাজের সময় বের করা হয়। এর পর মোট সময়কে গড় করে বেসিক টাইম বের করা হয়।
যেমনঃ 

এখন ৫পিছ কাজের সময়ের যোগফল= ৩৫+৩৮+৩৮+৩৬+৩৯
=১৮৬
৫পিছ কাজের সময়ের গড়        = ১৮৬ ÷ ৫ = ৩৭.
অতএব, অপারেটরের কাজের বেসিক টাইম = ৩৭.২ সেকেন্ড
ক্যাপাসিটি সাধারণত হিসাব হয় ঘন্টায়। এক ঘন্টায় ঐ অপারেটর কত পিছ কাজ করতে পারবে তার হিসাব।
১ ঘন্টা = ৬০ মিনিট = ৩৬০০ সেকেন্ড।
বেসিক টাইম = ৩৭.২ সেকেন্ড
ক্যাপাসিটি= মোট সময় ÷ বেসিক টাইম
          = ৩৬০০ ÷ ৩৭.
          = ৯৬ পিছ।

সাইকেল টাইম ও টার্গেটঃ
একজন মানুষ টানা কাজ করতে পারে না। এই জন্য তাকে প্রতি কাজের সময়ের সাথে কিছু এলাউন্স যোগ করা হয়। এটা আমরা আগে জেনেছি যে তাকে বলে সাইকেল টাইম। আমরা একটু আগে বেসিক টাইম হিসাব করেছি।  তার সাথে ১০% অতিরিক্ত সময় যোগ করে সাইকেল টাইম হিসাব করবো
যেমনঃ
বেসিক টাইম = ৩৭.
১০ % এলাউন্স যোগ করতে ক্যালকুলেটরে এভাবে হিসাব করুনঃ
৩৭.+ ১০ %= ৪১ সেকেন্ড
অথবা হাতে কলমে করার জন্য এভাবে করুনঃ
(৩৭.২ x ১০ ÷ ১০০) + ৩৭.= ৪১
তার মানে ঐ অপারেটর প্রতি পিছ কাজের জন্য ৩.৮ সেকেন্ড করে বেশি পাচ্ছে। যার অর্থ ঘন্টায় ৬ মিনিট এলাউন্স, ৮ ঘন্টায় ৪৮ মিনিট।

টার্গেটঃ
এক ঘন্টার টার্গেট বের করার জন্যঃ
ঘন্টা = ৬০ মিনিট= ৩৬০০ সেকেন্ড
টার্গেট = মোট সময় ÷ সাইকেল টাইম
          = ৩৬০০ ÷ ৪১
                   = ৮৮ পিছ।
তারমানে তার ক্যাপাসিটি আছে ৯৬ পিছ, কিন্তু তাকে টার্গেট দেয়া হচ্ছে ৮৮ পিছ।

টোটাল এভারেজ সাইকেল চেক টাইম (TACCT) কি?
আমরা সাধারণত সুইং লাইনের প্রত্যেক অপারেটরের পাঁচ সাইকেল করে টাইম স্টাডি করি, এর পর প্রত্যেকের পাঁচ সাইকেলের টাইমের এভারেজ করি।
এখন ধরুন, এক লাইনে ৩০ জন ওয়ার্কার আছে, এই ৩০ জনের এভারেজ সাইকেল টাইমের যোগফলকেই টোটাল এভারেজ সাইকেল চেক টাইম (TACCT)  বলে।
চিত্রঃ টোটাল এভারেজ সাইকেল চেক টাইম (TACCT)

বেসিক পিচ টাইম (Basic Pitch Time, BPT) কি?
সুইং লাইনে একেকজন কাজের সাইকেল টাইম একেক রকম। ভিন্ন জনে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে বলে সকলকে সমানভাবে ব্যালান্স করা যায়। কিন্তু সকলের কাজের সময়ের মানে সাইকেল টাইমের গড় করে একটা ধারণা নেয়া হয়।
সুইং লাইনের এক সাইকেল কাজ করার গড় সময়কে বেসিক পিচ টাইম (Basic Pitch Time, BPT) বলে।
BPT = TACCT ÷ Total Number of Worker
যদি ৪০ জন কাজ করে এবং তাদের টোটাল এভারেজ সাইকেল চেক টাইম (TACCT) হয় ২০০০ সেকেন্ড। তাহলে
BPT = ২০০০ ÷ ৪০
     = ৫০ সেকেন্ড

পটেনশিয়াল পিছ (Potential Piece) কি?
এক সুইং লাইন থেকে সম্ভাব্য কত পিছ আউটপুট পাওয়া সম্ভব তাকেই পটেশিয়াল পিছ বলে।
পটেনশিয়াল পিছ = কাজের সময় ÷ BPT
কাজের সময় ১ ঘন্টা অর্থ্যাৎ ৩৬০০ সেকেন্ড ও BPT ৫০ সেকেন্ড।
পটেনশিয়াল পিছ = ৩৬০০ ÷ ৫০ = ৭২ পিছ।

প্রোডাক্টিভিটি গ্যাপ কি?
প্রতি ঘন্টার পটেনশিয়াল পিছের সাথে সুইং লাইনের প্রতি ঘন্টার প্রোডাকশনের শতকরা পার্থক্যকে প্রোডাক্টিভিটি গ্যাপ বলে।
প্রোডাক্টিভিটি গ্যাপ= (প্রোডাকশান পিছ – পটেনশিয়াল পিছ) ÷ পটেনশিয়াল পিছ X ১০০
যেমনঃ
কোন লাইনের ঘন্টায় পটেনশিয়াল পিছ= ৯০ পিছ
প্রতি ঘন্টার প্রোডাকশান = ৭০ পিছ।
প্রোডাক্টিভিটি গ্যাপ= (প্রোডাকশান পিছ – পটেনশিয়াল পিছ) ÷ পটেনশিয়াল পিছ X ১০০
              = (৭০-৯০)÷ ৯০ X ১০০
              = (-২০ ) ÷ ৯০ X ১০০
              = -২২%



প্রোডাকশান ভেরিয়েন্স কি?
সুইং লাইনের টার্গেট পিছ ও প্রডাকশন পিছের শতকরা পার্থক্যকে প্রোডাকশান ভেরিয়েন্স বলে

প্রোডাকশান ভেরিয়েন্স = (প্রোডাকশান পিছ – টার্গেট পিছ) ÷ টার্গেট পিছ X ১০০

যেমনঃ
কোন লাইনের ঘন্টায় টার্গেট পিছ= ৮০ পিছ
প্রতি ঘন্টার প্রোডাকশান = ৫০ পিছ।
প্রোডাকশান ভেরিয়েন্স = (প্রোডাকশান পিছ – টার্গেট পিছ) ÷ টার্গেট পিছ X ১০০
              = (৫০-৮০)÷ ৮০ X ১০০
              = (-৩০ ) ÷ ৮০ X ১০০
              = -৩৭.৫%

এস এম ভিঃ (SMV)
এস এম ভি (SMV) হলো স্টান্ডার্ড মিনিট ভ্যালু (Standard Minute Value)
একজন আদর্শ ওয়ার্কার একটি কাজ যে সময়ে (মিনিট) করে, সেই সময়ের সাথে এলাউন্স যোগ করে যে সময় পাওয়া যায়, তাকে ঐ কাজের এস এম ভি বলে।
আমরা একটা বেসিক শার্ট-এর বিবেচনা করি। বেসিক শার্টের এস এম ভি হলো ১২ মিনিট। তার মানে একজন আদর্শ ওয়ার্কার একটা বেসিক শার্ট বানাতে এলাউন্স সহ সময় নেবে ১২ মিনিট।

ইফিসিয়েন্সি কি?
ইফিসিয়েন্সি মানে দক্ষতা। একজন যে কোন ওয়ার্কার একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে কাজ করে এবং একজন আদর্শ ওয়ার্কার ঐ সময়ে যে কাজ করে তার তুলনা হচ্ছে দক্ষতা।
দক্ষতা নির্ণয়ের জন্য ঐ কাজের এস এম ভি জানা প্রয়োজন।

ইফিসিয়েন্সি   = (আউটপুট মিনিট ÷ ইনপুট মিনিট X ১০০)
= প্রোডাকশান X SMV ÷   ম্যানপাওয়ার ÷ সময়(মিনিট) X ১০০
ইফিসিয়েন্সি প্রকাশ করা হয় % চিহ্ন দিয়ে।

উদাহরণঃ
স্লিভ জয়েনের এক জন অপারেটরের ইফিসিয়েন্সিঃ
স্লিভ জয়েনের এস এম ভি = ০.৬৬
১ ঘন্টায় প্রোডাকশান  = ৭০ পিছ

ইফিসিয়েন্সি   = ৭০ X ০.৬৬ ÷÷ ৬০ X ১০০
= ৭৭ %

প্রোডাকশান লাইনের ইফিসিয়েন্সিঃ
একটি লাইন ৮ ঘন্টা কাজ করে। ম্যানপাওয়ার ৭০ জন। প্রোডাকশান ৯৫০ পিছ। গার্মেন্টস-এর এস এম ভি ২২। (৮ ঘন্টা = ৮ X ৬০=৪৮০ মিনিট)

ইফিসিয়েন্সি = প্রোডাকশান X SMV ÷ ম্যানপাওয়ার ÷ সময়(মিনিট) X ১০০
     = ৯৫০ X ২২ ÷ ৭০ ÷ ৪৮০ X১০০
     = ৬২ %

লাইনের টার্গেট দেয়ার হিসাবঃ
এস এম ভি জানা থাকলে টার্গেট দেয়ার হিসাবঃ
টার্গেট = ম্যানপাওয়ার X কাজের ঘন্টা X ৬০ X প্লান ইফিসিয়েন্সি
          ÷ এস এম ভি

বোটলনেক কি?
শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বোতলের গলা। বোতলের গলা সাধারণত বোতলের বাকী অংশের চেয়ে সরু হয়, আর এ কারণে ভেতরের তরল পদার্থ অল্প পরিমানে পড়ে।
তেমনি প্রোডাকশান লাইনে কোন অংশে প্রোডাকশয়ান আর সবার থেকে কম হয়, এ কারণে পুরো লাইনের প্রোডাকশয়ান ব্যহত হয়, ঐ অংশকেই প্রোডাকশয়ান লাইনের বোটল নেক বলে।

ক্যাপাসিটি গ্রাফ কি?
একটি লাইনের সকল সদস্য (অপারেটর, হেল্পার, কিউ সি) এর প্রতি ঘন্টার ক্যাপাসিটি নির্ণয় করা হয়। এরপর সকলের ক্যাপাসিটি গ্রাফ (লেখচিত্র) আকারে প্রকাশ করা হয়। যা থেকে বোঝা যায় প্রোডাকশয়ান লাইনে কে কত পিছ কাজ করতে পারে, লাইনে কে বোটলনেক অর্থ্যাৎ কার জন্য প্রোডাকশান কম হচ্ছে।

পূর্ণ ছবি
আংশিক ছবি
ক্যাপাসিটি গ্রাফে প্রসেসের নাম, অপারেটরের নাম, মেশিনের নাম, সাইকেল টাইম, ক্যাপাসিটি প্রভৃতি তথ্য থাকে।

এছাড়াও বায়ার, স্টাইল, লাইন, ফ্লোর, সুইং শুরুর তারিখ, এস এম ভি, পটেনশিয়াল ও প্রোডাক্টিভিটি গ্যাপ  এই তথ্য সমুহ থাকে।


কে পি আই (KPI) কি?
কে পি আই হচ্ছে Key Performance Indicator, মানে কোন কাজের উন্নতি-অবনতি বোঝার জন্য নির্ধারিত ডাটা, যা বিশ্লেষন করলে ঐ কাজের অবস্থা বিচার করা যায়।

KPI-এর বৈশিষ্ট্যঃ
১। KPI অবশ্যই এমন হতে হবে যাকে পরিমাপ করা যায়।
২। KPI অবশ্যই কাজের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে।
৩। KPI অবশ্যই সংখ্যা, % দিয়ে প্রকাশ যোগ্য হতে হবে।

এস কিউ ডি সি (SQDC) কি?
SQDC হচ্ছে সুইং লাইনের KPI
S – সেফটি- Safety,
Q-কোয়ালিটি- Quality,
D-ডেলিভারী-Delivery,
C-কস্ট-Cost.

সুইং লাইনের সবার সেফটি নিশ্চিত করন, কাজের কোয়ালিটি অর্জন, টার্গেট পূরণ ও খরচ কমানোর হিসাব নিকাশ করে লাইনের পারফর্মেন্স নির্ণয় করার জন্য SQDC ব্যবহার করা হয়।

কি কি ডাটা থাকবে এবং কে করবে?
S সেফটি, দৈনিক ইনজুরির রেকর্ড ও সাপ্তাহিক ৫ এস স্কোর। (সুইং সুপারভাইজার ও ফার্স্ট এইড
Q কোয়ালিটি, দৈনিক DHU এর হিসাব। (কোয়ালিটি সুপারভাইজার)
D ডেলিভারী, দৈনিক টার্গেট, প্রোডাকশন ও ইফিসিয়েন্সি। (সুইং সুপারভাইজার)
C-কস্ট- দৈনিক মেশিন ডাউন টাইম (মেইন্টিনেন্স)

কখন করবে?
সুপারভাইজার, ফার্স্ট এইড কর্মী, কোয়ালিটি সুপারভাইজার ও মেইন্টিনেন্স মেকানিক মিলে প্রতিদিন সকাল ৯ টায় একসাথে পূরণ করবে।

SQDC এনালিসিসঃ
সুপারভাইজার, ফার্স্ট এইড কর্মী, কোয়ালিটি সুপারভাইজার ও মেইন্টিনেন্স মেকানিক SQDC পূরণ করে, আগের দিনের পারফর্মেন্স নিয়ে আলোচনা করবে এবং উন্নতির জন্য প্লান করে সেই মোতাবেক কাজ করবে।

No comments

Powered by Blogger.